১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইতালিতে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ -
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বহুধা বিভক্ত ইতালির রাজ্যগুলি জয় করে ফ্রান্সের অধীনে নিয়ে আসেন। এরফলে ইতালিবাসী সর্বপ্রথম রাজনৈতিক ঐক্যের আস্বাদ পায়। ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়নের পতনের পর ভিয়েনা সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হলে ইতালিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যেমন -
ন্যায্য অধিকার নীতি ঃ ভিয়েনা সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ ভিয়েনা সম্মেলনের ন্যায্য অধিকার নীতির দ্বারা ইতালিকে ৮ টি রাজ্যে বিভক্ত করেছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল ইতালির নবজাগ্রত জাতীয়তাবাদ ধ্বংস করা। বিভিন্ন রাজ্যে বিদেশি শাসক ও সামন্তপ্রভুদের আধিপত্য ফিরিয়ে আনা হ্য।ইতালির একমাত্র পিডমেন্ট-সার্ডিনিয়ার ইতালীয় বংশোদ্ভূত রাজা ছিলেন।
বিদেশি আধিপত্য ঃ ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের ভিয়েনা সম্মেলন অনুসারে -
(i) ইতালির লম্বার্ডি ও ভিনিশা অস্ট্রিয়ার অধীনে চলে যায়।
(ii) অস্ট্রিয়ার হ্যাপসবার্গ বংশ মধ্য ইতালির পার্মা, মডেনা, টাস্কানি ইত্যাদি রাজ্যে আধিপত্য স্থাপিত হয়।
(iii) বিদেশি পোপ মধ্য ইতালিতে নিজের শাসনক্ষমতা ফিরে পান।
(iv) অস্ট্রিয়ার অনুগত বুরবোঁ রাজবংশীয় রাজা প্রথম ফার্দিনান্দ দক্ষিণ ইতালির সিংহাসনে বসেন।
রক্ষণশীলতা ঃ ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইতালিতে পুরনো স্বৈরাচার ও রক্ষণশীলতার নীতিগুলি আবার ফিরে আসে। বাক স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়। যাজক, অভিজাতদের আধিপত্য বৃদ্ধি পায়।
মূল্যায়ন ঃ ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইতালিকে খণ্ড খণ্ড করা হয়। কিন্তু এখান থেকেই জন্ম নেয় ইতালির নতুন উদ্যোগ। পরবর্তীকালে ম্যাৎসিনি, ক্যাভুর ও গ্যারিবল্ডি প্রমুখের নেতৃত্বে ইতালির ঐক্য সম্পন্ন হয়।