ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ব্যর্থতার কারণ -
কৃষক শ্রেণির ভূমিকা ঃ ফেব্রুয়ারি বিপ্লবে সাধারণ কৃষক শ্রেণির ব্যাপক অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু কিছু সরকারি সুবিধা লাভ করার পর তারা রক্ষণশীল শাসকদের সমর্থকে পরিণত হয়। ফলে কৃষক শ্রেণির সমর্থনে প্রতিক্রিয়াশীল শাসকদের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
জাতিবিদ্বেষ ঃ হাঙ্গেরি, বোহেমিয়া-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে যে উদারনৈতিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় সেখানে বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী গুলির সংঘর্ষের ফলে শীঘ্রই তা ভেঙে পড়ে।
মতানৈক্য ঃ ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের লক্ষ্য ও কর্মপন্থা নিয়ে বিভিন্ন দেশের বিপ্লবীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যায়। ফলে বৈপ্লবিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাব ঃ সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাবে শেষপর্যন্ত ফেব্রুয়ারি বিপ্লব ব্যর্থ হয়েছিল। নেতাদের অনেকেরই রাজনৈতিক বিচক্ষণতার অভাব লক্ষ্য করা গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের বিপ্লবীদের মধ্যে কোন ঐক্য গড়ে ওঠেনি।
দমননীতি ঃ জনতার আন্দোলনের চাপে রাজারা প্রথমে উদারনৈতিক সংবিধান চালু করেছিল। কিন্তু কিছুকাল পড়ে দেশের সেনাবাহিনী বিপ্লবীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে বিপ্লবের আদর্শ ধ্বংস করে দিয়েছিল।
প্লেগ ঃ এই সময়কালে ইউরোপে প্লেগ রোগ মহামারির আকার ধারণ করেছিল। ফলে মানুষ মৃত্যু ভয়ে দিশেহারা হয়ে গেলে বিপ্লবের পথ অদৃশ্য হতে থাকে।
মূল্যায়ন ঃ ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব ব্যর্থ হলেও এটি সমকালীন ইউরোপীয় রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এই সময়টা ছিল ইউরোপের ইতিহাসের দিক পরিবর্তন কিন্তু এই সময় ইউরোপ মোড় ঘুরতে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন ঃ